বহু নাটকীয়তার পর ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাতে ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জামিন দিয়েছে সরকার। বের হয়েই শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে স্লোগানও তুলেছেন শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’।
২০১৯ সালের অক্টোবরে অনেক নাটকীয়তার পর গ্রেফতার করা হয় ক্যাসিনো কিং ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে। একই বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে যখন সম্রাটের চ্যালা-চমুন্ডাদের ধরা হচ্ছিল তখনই প্রশ্ন উঠছিল গডফাদারকে কেন ধরা হচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষের তোপের মুখে দীর্ঘ ১৮ দিন ধরে সম্রাটকে গ্রেফতার দেখাতে বাধ্য হয় সরকার। তারপর থেকে অসুস্থতার নামে হাসপাতালে বিলাস বহুল ভাবে কারাগারে কাটিয়ে আবারও জামিন দিলো সরকার। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই সম্রাটকে এখন জামিন কেন?
নেটিজেনরে বলছেন আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বড় বড় মাফিয়াদের জামিন করে মুক্তি দিচ্ছে সরকার। সে সময় জনগণের তোপের মুখে তাকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছিলো। কিন্তু দীর্ঘ দুই বছর নামে কারাগারে থাকলেও অসুস্থতা দেখিয়ে হসপিটালে স্পেশাল ক্যাবিন নিয়ে বিলাস বহুল ভাবে রেখা হয়েছে। যা সরাসরি শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে।
এদিকে জামিনে মুক্তি পেয়েই শেখ মুজিবের প্রতিকৃতিতে নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন এই ক্যাসিনোর গফ ফাদার খ্যাত সম্রাট। এ সময় নেতাকর্মীদের সাথে নিজেও স্লোগান দেন ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘শেখ হাসিনা এগিয়ে চল, আমরা আছি তোমার সঙ্গে’। এই স্লোগান নিয়েও শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে যে সম্রাটকে মুক্তি দিয়েছে তা এই স্লোগানেই স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার নামে স্বস্তিতে জীবন যাপন করছিলেন। পেরে গত ২২ আগস্ট তার জামিন দেয় সরকার।
সম্রাট নব্বইয়ের দশক থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতি সক্রিয় হয়। পরে যুক্ত হয় যুবলীগের সঙ্গে। ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি নির্বাচিত থেকে ২০০১ সালে রমনা থানা যুবলীগের আহ্বায়ক হন সম্রাট। ২০০৩ সালের সম্মেলনে মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হন। এর পর আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় গড়ে তুলেন ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড। ২০১২ সালে যুবলীগের ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি বনে জান।